স্মৃতি অনির্বাণ: চৌধুরীহাট অনির্বাণ পাঠাগারের পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ পুনর্মিলনী ও মরহুম ওয়াহিদুর রহমান -এর স্মরণ সভা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক
Synopsis
আলহামদুলিল্লাহ
মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে চৌধুরীহাট অনির্বাণ পাঠাগারের উদ্যোগে স্মৃতিতে অনির্বাণ স্মরণীকাটি প্রকাশ করতে পেরেছি। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাঠাগারটি ল্যান্ডিং লাইব্রেরি হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের বই সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে শুরু হলেও মরহুম ওয়াহিদ ভাই ও মফিজুর রহমান চৌধুরী মজনু ভাইয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অনির্বাণ পাঠাগারটি প্রাইভেট পড়ানোর ¯’ান হিসেবে পরিচিতি পায়; যা পরবর্তীতে নলেজ ভিউ কোচিং সেন্টার নামে পান বাজারে আত্মপ্রকাশ করে। সময়ের নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কয়েকটি ¯’ানে ¯’ানান্তরিত হয়ে অবশেষে ১৯৮৩ সালে পোস্ট অফিস রোডের দোতলায় হয়। সময়ের পরিক্রমায় এতে কোরআন হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যসহ নানাবিধ বইয়ের সংগ্রহ ও পাঠক সৃষ্টির সূচনা হয়। ২০০৫ সালে এ পাঠাগার কেন্দ্রীক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনির্বাণ শিল্পী গোষ্ঠী নামে আত্মপ্রকাশ করে।
অনির্বাণ পাঠাগারের দীর্ঘ এ পদযাত্রা সব সময় সুখকর হয়নি। ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম পান বাজারে অব¯’ানকালীন দুর্বৃত্তরা এতে রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। কিš‘ মিথ্যা অভিযোগে তাদের এ ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ¯’ায়ী হয়নি। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে বসুরহাটে সংঘর্ষের রেশ ধরে আমাদের পাঠাগারটিতেও আওয়ামী দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এতে পাঠাগারের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে ও কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যগুলোকে নীচে ফেলে দেয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী দৃর্বৃত্তরা আবারো পাঠাগারে হামলা করে সকল আসবাব পত্র ও কোরআন, হাদিস ও অন্যান্য বই ও কাগজপত্র একসাথে পুড়িয়ে দেয়। এরপর আবারো পাঠাগার প্রতিষ্ঠা হলে তা বেশি দিন ¯’ায়ী ঞয়নি। এত ধ্বংসের পরও প্রায় ১২ বছর পর ২০২৫ সালের প্রথমেই আমরা আবার নতুন করে এর পথচলা শুরু করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। নতুন এ পথচলায় অনলাইনে একটি ফ্ল্যাটফর্ম তথা িি.িড়হরৎনধহ.ড়ৎম নামে একটি ওয়েব সাইট তৈরী করে কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যসহ নানা প্রকার গ্রšে’র পিডিএফ, অডিও এবং বিভিন্ন্ ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামী লেকচারের ভিডিও সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যব¯’া করা হয়েছে।
চৌধুরীহাট অনির্বাণ পাঠাগারের পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ পুনর্মিলনী ও চরপার্বতী ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালার মরহুম ওয়াহিদুর রহমানের স্মরণ সভা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক স্মৃতিতে অনির্বাণ প্রকাশনার এ সংখ্যায় আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ উপমহাদেশের ইসলামী ব্যক্তিত্ব আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের -এর প্রতি। এ স্মরণীকায় তিনি একটি শুভে”ছা বাণী দিয়ে আমাদেরকে ঋদ্ধ করেছেন।
প্রবীণদের মাঝে যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জ্ঞানগর্ব স্মৃতিকথা লিখে সহযোগীতা করেছেন বিশেষকরে আবুল বাশার (ফেনু মিঞা), ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ডা. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বদরুল ইসলাম মুনীর, মাস্টার মোহা: আবদুল কাদের, মাস্টার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও মাস্টার নুর আলমসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের বন্ধু ও জুনিয়র যারা এ স্মরণীকায় স্মৃতিকথা, গান ও কবিতা দিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক শুভে”ছা রইলো।
পাঠাগারের দীর্ঘ এ যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী যারা মৃত্যুবরণ করেছেন বিশেষকরে শহীদ নিশু আলম, মরহুম ওয়াহিদুর রহমান, মরহুম মাস্টার মোহাম্মদ হোসাইন, মাস্টার ইসলাম, মরহুম মাস্টার আবু তাহের, মরহুম আবদুর রহীম ভেন্ডারসহ ইসলামী আন্দোলনের সকল ভাইয়ের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জান্নাতের সর্বো”চ মর্যাদা কামনা করছি। যারা এখনো আমাদের সাথে সাহায্য সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে রেখেছেন তাদের নেক হায়াত ও সু¯’তা কামনা করি।
আলহামদুলিল্লাহ
মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে চৌধুরীহাট অনির্বাণ পাঠাগারের উদ্যোগে স্মৃতিতে অনির্বাণ স্মরণীকাটি প্রকাশ করতে পেরেছি। ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ পাঠাগারটি ল্যান্ডিং লাইব্রেরি হিসেবে স্কুল শিক্ষার্থীদের সিলেবাসের বই সহায়তা দেয়ার মাধ্যমে শুরু হলেও মরহুম ওয়াহিদ ভাই ও মফিজুর রহমান চৌধুরী মজনু ভাইয়ের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় অনির্বাণ পাঠাগারটি প্রাইভেট পড়ানোর ¯’ান হিসেবে পরিচিতি পায়; যা পরবর্তীতে নলেজ ভিউ কোচিং সেন্টার নামে পান বাজারে আত্মপ্রকাশ করে। সময়ের নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কয়েকটি ¯’ানে ¯’ানান্তরিত হয়ে অবশেষে ১৯৮৩ সালে পোস্ট অফিস রোডের দোতলায় হয়। সময়ের পরিক্রমায় এতে কোরআন হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যসহ নানাবিধ বইয়ের সংগ্রহ ও পাঠক সৃষ্টির সূচনা হয়। ২০০৫ সালে এ পাঠাগার কেন্দ্রীক একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন অনির্বাণ শিল্পী গোষ্ঠী নামে আত্মপ্রকাশ করে।
অনির্বাণ পাঠাগারের দীর্ঘ এ পদযাত্রা সব সময় সুখকর হয়নি। ১৯৮৩ সালে সর্বপ্রথম পান বাজারে অব¯’ানকালীন দুর্বৃত্তরা এতে রাজাকারের ট্যাগ লাগিয়ে তালাবদ্ধ করে দেয়। কিš‘ মিথ্যা অভিযোগে তাদের এ ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ¯’ায়ী হয়নি। ১৯৯৫ সালের আগস্ট মাসে বসুরহাটে সংঘর্ষের রেশ ধরে আমাদের পাঠাগারটিতেও আওয়ামী দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এতে পাঠাগারের আসবাবপত্র ভাঙ্চুর করে ও কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যগুলোকে নীচে ফেলে দেয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী দৃর্বৃত্তরা আবারো পাঠাগারে হামলা করে সকল আসবাব পত্র ও কোরআন, হাদিস ও অন্যান্য বই ও কাগজপত্র একসাথে পুড়িয়ে দেয়। এরপর আবারো পাঠাগার প্রতিষ্ঠা হলে তা বেশি দিন ¯’ায়ী ঞয়নি। এত ধ্বংসের পরও প্রায় ১২ বছর পর ২০২৫ সালের প্রথমেই আমরা আবার নতুন করে এর পথচলা শুরু করতে পেরেছি, আলহামদুলিল্লাহ। নতুন এ পথচলায় অনলাইনে একটি ফ্ল্যাটফর্ম তথা িি.িড়হরৎনধহ.ড়ৎম নামে একটি ওয়েব সাইট তৈরী করে কোরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্যসহ নানা প্রকার গ্রšে’র পিডিএফ, অডিও এবং বিভিন্ন্ ওয়াজ মাহফিল ও ইসলামী লেকচারের ভিডিও সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের ব্যব¯’া করা হয়েছে।
চৌধুরীহাট অনির্বাণ পাঠাগারের পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৫ পুনর্মিলনী ও চরপার্বতী ইসলামী আন্দোলনের সিপাহসালার মরহুম ওয়াহিদুর রহমানের স্মরণ সভা উপলক্ষে প্রকাশিত স্মারক স্মৃতিতে অনির্বাণ প্রকাশনার এ সংখ্যায় আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ উপমহাদেশের ইসলামী ব্যক্তিত্ব আমাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন অধ্যাপক আবু নাছের মো. আবদুজ জাহের -এর প্রতি। এ স্মরণীকায় তিনি একটি শুভে”ছা বাণী দিয়ে আমাদেরকে ঋদ্ধ করেছেন।
প্রবীণদের মাঝে যারা আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জ্ঞানগর্ব স্মৃতিকথা লিখে সহযোগীতা করেছেন বিশেষকরে আবুল বাশার (ফেনু মিঞা), ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ, ডা. মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, বদরুল ইসলাম মুনীর, মাস্টার মোহা: আবদুল কাদের, মাস্টার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ও মাস্টার নুর আলমসহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আমাদের বন্ধু ও জুনিয়র যারা এ স্মরণীকায় স্মৃতিকথা, গান ও কবিতা দিয়ে অংশগ্রহণ করেছেন তাদের প্রতিও আন্তরিক শুভে”ছা রইলো।
পাঠাগারের দীর্ঘ এ যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী যারা মৃত্যুবরণ করেছেন বিশেষকরে শহীদ নিশু আলম, মরহুম ওয়াহিদুর রহমান, মরহুম মাস্টার মোহাম্মদ হোসাইন, মাস্টার ইসলাম, মরহুম মাস্টার আবু তাহের, মরহুম আবদুর রহীম ভেন্ডারসহ ইসলামী আন্দোলনের সকল ভাইয়ের রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জান্নাতের সর্বো”চ মর্যাদা কামনা করছি। যারা এখনো আমাদের সাথে সাহায্য সহযোগীতার হাত প্রসারিত করে রেখেছেন তাদের নেক হায়াত ও সু¯’তা কামনা করি।
